রাত পোহালেই ‘একুশ”, সভা ভরানো নিয়ে চরম চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব Bengali News Live
প্রস্তুতি সব শেষ, এবার সভায় ভিড় নিয়ে চিন্তার ভাঁজ শাসক দলের কপালে। সভা শুরু হতে মাত্র আর এক রাত বাকি, কিন্তু তাঁর আগে তৃণমূলের অন্দরমহলে একটাই চিন্তা, ‘লোক হবে তো?”। এর আগে ১৯শে জানুয়ারি দেশের তামাম বড়বড় নেতাদের এনেও সভা ভরাতে পারেনি তৃণমূল। এলাহি আয়োজন করে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও লোক জোটেতে ব্যার্থ হয়েছিলে শাসক দল।আরেকদিকে মাত্র কয়েক দিনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্রিগেডে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল নমো। এবার সেই একই রকম দুশ্চিন্তায় ভুগছে তাঁরা।
শহীদ সমাবেশে সবথেকে বেশি লোকের আশা করা হয় উত্তর বঙ্গ থেকে। কিন্তু এবার উত্তর বঙ্গ থেকেও তৃণমূলের আশা তেমন দেখা যাচ্ছে না। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর বঙ্গে চরম ভরাডুবি হয়েছিল শাসক দলের। এর আগে শহীদ সমাবেশের দু-তিন দিন আগে থেকেই উত্তর বঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলে আসে কলকাতায়। কিন্তু এবার সেটা আর দেখা যাচ্ছে না।
আরেকদিকে হাওড়া ও শিয়ালদহ রেল স্টেশনে প্রায় ২০০ বাঁশের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল শাসক দলের পক্ষ থেকে, কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই ২০০ বাসের মধ্যে খুব বেশি হলে মাত্র ২০ টি বাস বের হয়েছিল। শুক্রবার রাতে কয়েকটি বাস সেখান থেকে ছেড়ে ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল, সেগুলোও ছিল প্রায় ফাঁকা।
আরেকদিকে দক্ষিণ বঙ্গের জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভরাডুবি দেখা গেছিল গত লোকসভা ভোটে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতেও একুশের সমাবেশ নিয়ে তেমন উৎসাহ নেই বলেই খবর। শাসকদলের অনেক নেতারা ঘনিষ্ঠ মহলে এ-ও বলেছিলেন, আগে নেতারা বাসে চেপে, লরিতে চেপে লোক নিয়ে আসত। আর এখন পাড়ায় পাড়ায় সব নেতার একটা করে স্করপিও গাড়ি হয়ে গিয়েছে।
আগামী পুরসভা ভোট এবং বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখেই শহীদ সমাবেশে জনজোয়ার আনতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু নেতা কর্মীদের মুখ দেখে যা মনে হচ্ছে, এবার আর হয়ত বৈতরনী পার হবেনা।
Bengali News Live
Comments
Post a Comment